নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ডট কম : মহান স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খাঁন ভাষানী’র ৩৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বাদ যোহর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে মহানগর বিএনপি’র উদ্যোগে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
নগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম আহবায়ক শিমূল সরকার, জেলা শ্রমিকদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নজরুল ইসলাম, মহানগর শ্রমিকদলের যুগ্ম আহবায়ক মনির মল্লিক প্রমূখ।
দোয়াপূর্বক এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এটিএম কামাল বলেন, সারা বাংলাদেশ এখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশ ও দেশের মানুষের এই দুঃসময়ে সবচেয়ে বেশী যার কথা মনে পড়ছে তিনি আর কেউ নন, মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী। ভাষানী ছিলেন একজন কিংবদন্তি। তিনি অন্যায়ের সাথে কখনও আপোষ করেননি। হিমালয়ের মত ইস্পাত দৃঢ় মনোবলের অধীকারী ছিলেন তিনি। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে আমরা যদি বর্তমান জালিম সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি, তবে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার করে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দলের অনেক সিনিয়র নেতা ফোন করে আজকের অনুষ্ঠানে আসতে সাধারণ নেতাকর্মীদেরকে নিষেধ করেছে। এমনকি প্রশাসনের কাছেও ফোন করে বলেছে কামাল যাতে অনুষ্ঠান করতে না পারে সে ব্যবস্থা করেন। আপনারা নিজেরাই ঠিক করেন এরা কি দলের লোক না সরকারের দালাল। আমি এইসব দালালদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এটা এটিএম কামালের অনুষ্ঠান নয়, এটা কেন্দ্রীয় বিএনপি’র দেশব্যাপী পালিত কর্মসূচির অংশ। ফেসবুক সর্বস্ব এইসব নেতারা নিজেরা তো কোন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করেনই না, নানা অপপ্রচার করে সাধারণ নেতাকর্মীদেরও বিরত রাখার চেষ্টা করেন। আমি আজ এই মঞ্চ থেকে দৃঢ় কন্ঠে সকলকে জানিয়ে দিতে চাই, আমি কোন পদ পদবী চাই না। দলীয় মনোনয়ন চাই না, মজলুম জননেতা আঃ হামিদ খান ভাষানীর আদর্শ বুকে ধারণ করে শহীদ জিয়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরণ কাজ করে যেতে চাই।
নগর বিএনপি’র সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির বলেন, মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী সবসময় হক কথা বলতেন। এজন্য সকলে তাঁকে হক ভাষানী নামে ডাকতো। শেখ মুজিব ছিলেন তাঁর শিষ্য। আগরতলা মামলায় গ্রেফতার হয়ে শেখ মুজিব যখন কারাগারে তখন মাওলানা ভাষানীর নেতৃত্বেই তিনি মুক্ত হয়েছিলেন। অথচ আজ আওয়ামী লীগ সে কথা বেমালুম ভুলে গেছে।
আলোচনা শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা জাকির হোসেন।
Leave a Reply